বঙ্গোসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। তীব্র বাতাসে ভেঙে গেছে বহু গাছপালা। ভেঙেছে অনেক ঘরবাড়ি ও বিদ্যুতের খুঁটি। রোববার (১৪ মে) বিকেল পৌনে ৪টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মোখার তাণ্ডব বেড়েই চলছিল। তাই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঢাকা মেইলের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।
বিকেলে সেন্টমার্টিনের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে জনপ্রতিনিদের কাছে ফোনে কথা বলার সময় তারা এই দোয়া প্রার্থনা করেন।
বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, আমার এলাকায় এখনো তীব্র বাতাস হচ্ছে। সঙ্গে ঝড়ো বৃষ্টি। এলাকায় অনেকে গাছ ভেঙে পেড়ে গেছে। এছাড়া ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমাদের জন্য দোয়া করেন সবাই।
একইভাবে দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন সাত নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রশিদ আহমদও। তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর আমার কাছে এসেছে। তবে এটা নিশ্চিত নয়। আমার এলাকায় বাতাসের তীব্রতা বেড়েছে। পুরো এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের সেন্টমার্টিনের অবস্থা খুবই খারাপ। ঘর-বাড়ি, গাছ-পালা ভেঙে সব লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। দোয়া করবেন, পরে আলাপ হবে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন, এই মুহূর্তে সেন্টমার্টিনে বাতাসের গতি প্রচুর। অনেক ঘরবাড়ি উড়িয়ে নিয়ে গেছে। শুনেছি গাছ পরে এক নারীর মৃত্যুও হয়েছে। আহত হয়েছে অনেকে। কিন্তু বৈরী পরিবেশের কারণে বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
বিকেল পৌনে তিনটার দিকে টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো হতাহতের খবর আসেনি। তবে পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঢাকা মেইল
পাঠকের মতামত